বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২৮ অপরাহ্ন
মো. আব্দুল্লাহ আল কাইয়ুম ::
“আমাদের প্রধান শত্রু, আমাদের জ্ঞান, আমাদের সঠিক জ্ঞান না থাকার কারণে আমরা হেরে যাই, হেরে যায় মানবতা”
উইকিপিডিয়ার তথ্য মতে, পৃথিবীর শুরু থেকে আজ পর্যন্ত এর বয়স(২০২১) ৪৫০ কোটি বছর প্লাস। এই বয়স উল্কার রেডিওমেট্রিক বয়স নির্ণয় থেকে প্রাপ্ত এবং প্রাপ্ত সবচেয়ে প্রাচীন পার্থিব ও চাঁদের পাথরের রেডিও মেট্রিক বয়সের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে রেডিও মেট্রিক বয়স নির্ণয় পদ্ধতি আবিষ্কারের পর পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার জ্যাক হিলস নামক স্থানে খনি থেকে প্রাপ্ত পুরানো ছোট ও স্বচ্ছ বস্ত হল গোমেদ-মণি সিসা খণ্ড যার বয়স কমপক্ষে ৪৪০.৪ কোটি বছর। যুক্ত রাজ্যের একদল বিজ্ঞানী বলেছেন পৃথিবীতে আরও ১৭৫ কোটি বছর পর্যন্ত প্রাণের অস্তিত্ব থাকবে। অ্যাস্ট্রোবায়োলজি সাময়িকীতে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে নাটকীয় প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা সম্ভব্য মহাবিপর্যয় ছাড়াই মহাজাগতিক বিভিন্ন পরিবর্তনের ফলে আমাদের এই পৃথিবী ধীরে ধীরে বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়বে। বসবাসের অযোগ্য করে গড়ে তুলবেন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জীব এই মানুষের (আমাদের) কারণে।
এবার যদি বলি পৃথিবীতে কার দাপট বেশি মাটি নাকি পানি!তাহলে অবশ্যই বলতে হবে পানি। তা কিভাবে এ কথা বললে ১৯৪৭ সালের আগস্ট মাসের দিকে ফিরে তাকাতে হবে “স্টার ডাস্ট” নামক একটি ব্রিটিশ বিমান আর্জেন্টিনা থেকে চিলি যাওয়ার পথে আন্দেজ পর্বতমালার ১৩০০০ ফুট উচুতে দুর্ঘটনার শিকার হন এবং তুষার পাতের পরে বিমানটি তুষারের নিচে চাপা পরে। আর তুষার, ঠান্ডায় জমে গ্লিসিয়ারে রুপান্তরিত হয়। ফলে সারা দুনিয়ার বাঘা বাঘা রাষ্ট্র ও বিজ্ঞানিরা স্যাটেলাইট, রাডার ব্যবহার করেও ৫২ বছর ধরে খুজে এই বিমানেরএর সন্ধান দিতে পারেনি। অবশেষে ৫৩ বছর পরে ২০০০ সালে তুষার ঠান্ডায় জমে যাওয়া এই গ্লিসিয়ার যখন গলতে শুরু করল তখন বিমানটির সন্ধান পাওয়া যায়। মৃত্যু ব্যক্তিদের লাশ অক্ষত অবস্থায় পাওয়া যায়।
এর মাধ্যমে একটি বিষয় পরিষ্কার যে পৃথিবীতে পানির দাপট বেশি কারণ তুষার গললে মূলত আমরা পানিই পাই। সারা পৃথিবীর পানি মূলত৭৯% যা পাঁচটি মহাসাগর এবং এন্টার্কটিকা মহাদেশে ৯০% জমানো বরফের মধ্যে আটকানো আর ২১%মাটি গুলোকে ৭টি মহাদেশ আকারে ভাগ করা হয়েছে মাত্র। এই মহাদেশের মাটিগুলেকে ২০৩/২৩০ ভাগে ভাগ করে দেশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।এর মধ্যে স্বাধীন দেশের সংখ্যা ১৯৫ টি এবং ১৯৬ তম স্বাধীন দেশ হিসাবে আত্নপ্রকাশ করতে যাচ্ছে বুগেনভিলে যা ওশেনিয়া মহাদেশের দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশ পাপুয়া নিউগিনি থেকে স্বাধীন হতে যাচ্ছে।
ইউরোপে অবস্থিত পোপের দেশ ভ্যাটিক্যান সিটি এবং কসোভো(প্রিস্টিনা)বাদে বাকি ১৯৩ টি দেশ জাতিসংঘের সদস্য দেশ। এই দেশগুলো সাতটি মহাদেশের মধ্যে, এশিয়াতে স্বাধীন দেশ ৪৪ টি,ইউরোপে ৪৮ টি,আফ্রিকাতে ৫৪ টি, উত্তর আমেরিকাতে ২৩ টি,দক্ষিণ আমেরিকাতে ১২ টি, ওশেনিয়াতে ১৪ টি আর এন্টার্কটিকাতে কোন দেশ নেই, আছে ৯০% বরফে আচ্ছাদিত সৃ্ষ্টিকর্তার রহস্যের চাদরে ঘেরা মাউন্ট ইরেবাস নামক জলন্ত আগ্নেয় গিরি।বরফ তাপ পেলে গলে যায় কিন্তু এখানের বরফ গলছেনা। এটাই সৃষ্টিকর্তার শ্রেষ্ঠত্ব।আমরা যে মাটি গুলোকে দেশ আকারে ভাগ করেছি এদের মাঝে জমি বেশি(আয়তনে বড়) আছে এরকম ১০ জন নেতা হলেন রাশিয়া, কানাডা, চিন, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, আর্জেন্টিনা, কাজাখস্তান, আলজেরিয়া। আর জন গণ বেশি বড়াই করে চিন ( জনসংখ্যায় পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দেশ এবং পৃথিবীর শীর্ষ কার্বণ নিঃষরণকারী দেশ)।
এশিয়াতে সবার খোজ খবর রাখতে চায় ভারত, চিন,রাশিয়া,ইসরাইল।ইউরোপে যুক্তরাজ্য,ফ্রান্স,জার্মানি,স্পেন। উত্তর আমেরিকা সহ সারা পৃথিবীর খবর নিতে ব্যস্ত থাকেন সেই দেশ যুক্তরাষ্ট্র (জাতিসংঘের সদর দপ্তর নিউইয়ার্ক,বিশ্বব্যাংক, IMF এর সদর ওয়াশিংটন ডিসি,কার্বন নিঃষরণকারী পৃথিবীর দ্বিতীয় দেশ)।দক্ষিণ আমেরিকাতে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা।আফ্রিকাতে অন্ধকার তাই নেতাও কম কিন্তু ইথিওপিয়া ও ইরিত্রিয়া মাঝে মাঝে মারা মারি লেগে যায়।ওশেনিয়াতে অস্ট্রেলিয়া। এতক্ষণ পর্যন্ত যাদের নাম বললাম এরাই মূলত সারা পৃথিবীকে নাড়ে চারে।যত সমস্যা এদের কারণেই। কিভাবে, ফিরে দেখি প্রথম বিশ্ব যুদ্ধ যার শুরু ১৯১৪ সালের ২৮ জুলাই এবং শেষ ১৯১৮ সালের ১১ নভেম্বর। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ১৯৩৯ সালের ১ লা সেপ্টেম্বর, শেষ হয় ১৯৪৫ সালের ২ সেপ্টেম্বর।১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট আমেরিকা জাপানের হিরোশিমার উপর প্রথম পরমাণু বোমাটি ফেলে। বোমার নাম ছিল লিটল বয়। বিস্ফোরণের ফলে প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। তবে অবস্থার এখানেই শেষ নয়। এখনও পর্যন্ত এর প্রভাব বয়ে চলেছে হিরোশিমা। এর ঠিক ৩ দিন পর নাগাসাকির উপর ফ্যাট ম্যান ফেলে আমেরিকা। সেখানে ৭৪ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। এই বোমা দুটির বিস্ফোরণের ফলে যে এনার্জি উত্পন্ন হয়, তা প্রায় ২০ হাজার টিএনটি (ট্রাই নাইট্রো টলুইন)-র সমান। এই মার্মান্তিক ঘটনা পৃথিবী বাসী কোন দিন ভুলবেনা। এসব যুদ্ধ কাদের জন্য?
১৯৪৫ সালের ২৬ জুন, ৫০ টি দেশের প্রতিনিধিরা ১১১ধারা সম্বলিত জাতিসংঘ সনদ স্বাক্ষর করেন, ১৯৪৫ সালের ১৫ অক্টোবর ৫১ তম দেশ হিসেবে পোলান্ড সনদে স্বাক্ষর করেন সুতারং প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ৫১ এবং ১৯৪৫ সালের ২৪ অক্টোবর সনদ কার্যকর ও জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠা লাভ করেন। এর মূল অঙ্গসংস্থা ৬টি, ভাষা ৬টি আর কার্যকরী ভাষা দুটি, সদর দপ্তর নিউইয়ার্ক, যুক্তরাষ্ট্র। ১৯৪৫ সালে ইউক্রেনের ইয়াল্টায় ৫ ক্ষমতাধরদেশ যুক্তরাষ্ট্র,যুক্তরাজ্য,ফ্রান্স,রাশিয়া,চিন ভোটো নামে পৃথিবীর টোটাল ক্ষমতা তাদের হাতে নিয়ে নেয়।আজকে (২০২১) পৃথিবীতে যত সমস্যা এর শিকড় খুজলে এদেরকেই পাওয়া যাবে। ফাকে একটু মুসলিম বিশ্বের(OIC ভুক্ত ৫৭ টি দেশ) কথা বলা প্রয়োজন পৃথিবীতে পারমানবিক শক্তিধর দেশ ৯টি,এই ৯ দেশের মাঝে দু’টি দেশ হলো পাকিস্তান ও ইরান।পাকিস্তান,ইরান,তুরস্ক ও মালয়েশিয়া বাদে বাকী ৫৩ টি দেশ মনে হয় ক্ষমতা কিভাবে টিকিয়ে রাখা যায় এসব নিয়ে ব্যস্ত।
মুসলিম দেশগুলোর প্রধান সমস্যা অনৈক্য আর এই বিবেদ তৈরীর মূল কারিগড় কিন্তু পৃথিবীর মোড়লরা।মুসলিমরা আছে শিয়া,সুন্নি,জামা,কাপড়,টুপি,তসবি, মিলাদ দাড়িয়ে না বসে, পির মুরিদি জায়েজ আছে কি নেই এসব নিয়ে। আর পৃথিবীর লিড(নেতৃত্ব) দিচ্ছে অমুসলিমরা অথচ মুসলমানদের রয়েছে পৃথিবী শাষণের সোনালী ইতিহাস।
এবার আশা যাক কিভাবে আমরা (মানুষ) পৃথিবীকে কলুষিত করছি। পৃথিবী নেতৃত্ব নিয়ে আমাদের অসম প্রতিযোগিতা বিশ্বকে কেথায় নিয়ে যাচ্ছে তা কী একবারও ভেবেছি। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে পরমাণু অস্ত্র আছে ৬ হাজার ৮শ’, রাশিয়ার ৭ হাজার, ফ্রান্সের ৩শ’, যুক্তরাজ্যের ২১৫, চীনের ২৭০, ভারতের ১৩০, পাকিস্তানের ১৪০, ইসরায়েলের ৮০, আর উত্তর কোরিয়ার আছে ২০টি। সব দেশই এসব তথ্যের ব্যাপারে কড়া গোপনীয়তা বজায় রাখে। তবে যেটুকু জানা যায়, তা হলো- পৃথিবীর মোট ৯টি দেশের হাতে এখন ৯ হাজার পরমাণু বোমা আছে- যদিও স্নায়ুযুদ্ধের অবসানের পর এ সংখ্যা আগের চেয়ে কমে গেছে।পরমাণু বোমাগুলো অনেক ক্ষেত্রে বসানো আছে ক্ষেপণাস্ত্রের মাথায়। তা ছাড়া আছে বিভিন্ন সামরিক বিমান-ঘাঁটিতে বা অস্ত্রের গুদামে।
বিভিন্ন দেশে এখন শত শত পারমাণবিক বোমা বসানো-ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করা আছে। আমেরিকান ক্ষেপণাস্ত্রগুলো বসানো আছে বেলজিয়াম, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, এবং তুরস্কে – সব মিলিয়ে এগুলোর সংখ্যা প্রায় ১৫০।অন্তত ১৮০০ পরমাণু বোমা আছে যেগুলো খুব স্বল্প সময়ের নোটিশে নিক্ষেপ করা যাবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সব পরমাণু-শক্তিধর দেশই এখন তাদের অস্ত্রগুলোর আধুনিকায়ন করছে, বা করার পরিকল্পনা করছে।সবচেয়ে বেশি পরমাণু বোমা আছে যুক্তরাষ্ট্র আর রাশিয়ার হাতে। এ দুটি দেশের হাতে আছে ১৫ হাজার বোমা। স্টকহোমের একটি শান্তি গবেষণা ইনস্টিটিউট বলছে, ১৯৮০ দশকে পারমাণবিক বোমা বা ওয়ারহেডের সংখ্যা ছিল প্রায় ৭০ হাজার।পরমাণু অস্ত্র আছে এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, ভারত, পাকিস্তান ও উত্তর কোরিয়ার হাতে। ইসরাইলের হাতে পারমাণবিক অস্ত্র আছে বলে মনে করা হলেও তারা কখনো একথা স্বীকার বা অস্বীকার কোনটাই করেনি। উত্তর কোরিয়া দাবি করছে তাদের ক্ষেপণাস্ত্র যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানতে পারবে ভারত, ইসরায়েল আর পাকিস্তান কখনো পরমাণু অস্ত্র-বিস্তার রোধ চুক্তি বা এনপিটিতে সই করে নি। উত্তর কোরিয়া সই করেও ২০০৩ সালে এ থেকে বেরিয়ে যায়। এই চুক্তি অনুযায়ী স্বীকৃত পারমাণবিক শক্তিধর দেশ হচ্ছে মাত্র পাঁচটি স্বাক্ষরকারী দেশ – আমেরিকা, রাশিয়া, ব্রিটেন, ফ্রান্স, ও চীন।এই চুক্তিতে অস্বীকৃত দেশগুলোর পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।বলা হয় আমেরিকা রাশিয়া ও ব্রিটেন তাদের পরমাণু অস্ত্রে সংখ্যা কমাচ্ছে। ইসরায়েল ও ফ্রান্সের অস্ত্রের সংখ্যা অপরিবর্তিত আছে।
অন্যদিকে চীন, পাকিস্তান, ভারত ও উত্তর কোরিয়া্ তাদের পরমাণু অস্ত্রের সংখ্যা বাড়াচ্ছে বলে মার্কিন বিজ্ঞানীদের একটি ফেডারেশন বলেছে। দ্বিতীয় দেশ হিসেবে পারমাণবিক বিস্ফোরণ ঘটায় সোভিয়েত ইউনিয়ন। ১৯৪৯ সালে পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় তারা। ব্রিটেন হল তৃতীয় দেশ যেটি পারমাণবিক বোমা টেস্ট করে। চীন, ফ্রান্স, ভারত, উত্তর কোরিয়া ও পাকিস্তানের কাছে আজ পারমাণবিক বোমা রয়েছে। ইজরায়েলের কাছে এই বোমা আছে কিনা তা জানাতে অস্বীকার করেছে তারা। বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশ আমেরিকা সবার খবর রাখার জন্য ১৮০টি দেশে ২০০,০০০ সৈন্য নিয়োগ করে রেখেছে। বিশ্ব এখন পারমাণবিক বোমার থেকেও শক্তিশালি হাইড্রোজেন বোমা দেখতে শুরু করেছে। এর আর এক নাম থার্মোনিউক্লিয়ার বোমা। হাউড্রোজেনের আইসোটোপের নিউক্লিয় সংযোজন পদ্ধতিতে এই বোমা কাজ করে। এই বোমা বিস্ফোরণের ফলে যে উত্তাপ তৈরি হয় সেটি সূর্যের মধ্যস্থিত শক্তির সমান। এখনও পর্যন্ত হাইড্রোজেন বোমা কোন যুদ্ধে ব্যবহার করা হয়নি। হাইড্রোজেন বোম দুই প্রক্রিয়ায় বিস্ফোরণ হয়। প্রথমে নিউক্লিয়ার বিস্ফোরণ হয়। এর ফলে প্রচুর পরিমাণে তাপ উত্পন্ন হয়। তারপর সেটি নিউক্লিয়ার ফিউশনকে উদ্দীপ্ত করে। পুরো প্রক্রিয়ায় বিশাল বিস্ফোরণ ঘটে। মার্কিন সেনারা প্রথম হাইড্রোজেন বোমা টেস্ট করে ১৯৫২ সালে। পারমাণবিক বোমার চেয়ে এটি ৭০০ গুণ বেশি শক্তিশালী। এর এক বছর পর সোভিয়েত ইউনিয়ন নিজের হাইড্রোজেন বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। সালটি ছিল ১৯৬১। তসার বোম্বা নামে একটি হাইড্রোজেন বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় তারা। বিস্ফোরণের ফলে প্রায় ৫৭ মেগা টন শক্তি উত্পন্ন হয়। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও যুদ্ধে হাইড্রোজেন বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হয়নি।
একটু দক্ষিণ এশিয়ার ফিরে তাকানো যাক এখানের মোড়ল(লিডার) কারা তাদের কথাতো আগেই বলেছি ভারত – চিন কেমন সম্পর্ক তাতো আর বলা লাগেনা।একই এলাকায় দুই নেতা মানে একজন আরেক জনের শত্রু।দক্ষিণ এশিয়ায় এই মুহুর্তে সবচেয়ে বড় সমস্যা রোহিঙ্গা সংকট (সংকট শুরু ১৯৭৮ সালে,রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব বাতিল ১৯৮২ সালে) চিন কর্তৃক জিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিম সম্প্রদায়কে নির্যাতন,কাশ্মির সমস্যা,মায়ানমারে সামরিক শাসন সমস্যা। এ সমস্যাগুলো নিয়ে যতই কথা বলব ঘুরে ফিরে ভারত,চিন,রাশিয়া এই তিন দেশের নাম চলে আসবে। এই সংকটের মূলে তারাই এবং সমাধান তাদের হাতেই।
আর বাংলাদেশের এই মুহুর্তে প্রধান চ্যালেঞ্জ রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো
যদিও চিন, ভারত, রাশিয়া এই তিন দেশের আন্তরিকতা ছাড়া আদৌও সম্ভব নয়।এই যদি হয় পৃথিবীর অবস্থা তাহলে আগামীর বিশ্ব কোন পথে…?
লেখক : মো. আব্দুল্লাহ আল কাইয়ুম: কলামিস্ট, শিক্ষাগুরু, প্রাবন্ধিক, আইনজীবী, রাজনৈতিক বিশ্লেষক, সমাজকর্মী ও বহু গ্রন্থ প্রণেতা।